
আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের রথবাড়ি এলাকার শিক্ষক খোরসেদা খানম নিজ বাসায় ছাদ বাগান করে এলাকায় প্রশংসায় ভাসছেন। তাঁর এই ছাদ বাগান দেখে এলাকার অনেকে ছাদ বাগানে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রশংসা পেয়েছেন তিনি এই ছাদ বাগান করে। উপজেলা কৃষি অফিসের সুপাইভাইজারগন এই ছাদ বাগানে নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষক খোরসেদার ছাদ বাগানে সাহায্য করেন তাঁর স্বামী স্থানীয় একটি কলেজের সহকারি অধ্যাপক (অবঃ), কলামিষ্ট,দৈনিক ভোরের দর্পণের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ রবিউল ইসলাম (রবীন) এবং তাঁর দুজন কণ্যারা। জানা গেছে, মোট ৫৫ জাতের নানা প্রজাতির গাছ এই ছাদ বাগানে আছে।
সরজমিনে জানা গেছে,সান্তাহার ইউনিয়নের দমদমা গ্রামের এই পরিবার বর্তমানে সান্তাহারে রথবাড়ি এলাকায় বসবাস করেন। ২০১৯ সালে শিক্ষক খোরসেদা বাড়ি নির্মাণের পর পরই ছাদ বাগান শুরু করেন। স্থনীয় নার্সারী ও ফলের চাড়ার দোকান থেকে গাছ সংগ্রহ করে ছাদ বাগান শুরু করেন। স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। শিক্ষকতার পাশাপাশি সংসারের সব কাজ শেষ করার পরও তিনি সকাল-সন্ধা ছাদ বাগানের পরিচর্চা করেন। অবসর সময়ে ছাদবাগানের বিভিন্ন নিয়ম কানুন শিক্ষা নেন ফেসবুকের বিভিন্ন ছাদ বাগান পেজে ও বই পুস্তক পড়ে। উপজেলা কৃষি অফিসও তার ছাদ বাগানের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
বর্তমানে তাঁর ছাদ বাগানে আম,পেয়ারা,লিচু,ডালিম,বড়ই,মরিচ,জামরুল, মাল্টা,আমড়া,চেরিফল,পেপে প্রভৃতি ফল গাছ আছে। ফুলের মধ্যে গোলাপ,বাাগান বিলাস.হাসনাহেনা,শিউলী,নয়নতারা, মনিং গেøারি,সন্ধামালতি,রংগন, কাঠ গোলাপ ,পুদিনা পাতা বিভিন্ন ধরনের পুর্তলিকা,নীল অপরাজিতা এবং সিম,লাউ,টমেটো এবং বিভিন্ন জাতের শাক গাছ সহ ৫৫ জাতের গাছ তার ছাদ বাগানে আছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ছাদ বাগান প্রিয় উৎসুক মানুষ এই ছাদ বাগান দেখতে আসেন।
তাঁর এই ছাদ বাগানের সবচেয়ে বড় সহযোগিতা করেন তার স্বামী শিক্ষক,সাংবাদিক,কলামিষ্ট রবিউল ইসলাম (রবীন)। তিনি (রব্উিল) বলেন,’ঘুম থেকে উঠেই নামাজ পড়েই আমরা স্ত্রী ছাদবাগানে পরিচর্চা করতে যান। আবার স্কুল শেষ করে বিকেলে ছাদবাগানে সময় দেন। আমি শিক্ষকতা, সাংবাদিকতার পাশাপাশি এই ছাদবাগানে সময় দেই। নিজের ছাদ বাগানে ফুল,ফল দেখলে মন জুড়ে যায়।’
শিক্ষক খোরসেদা খানম (রুবী) বলেন, ’ছোটকাল থেকেই গাছ লাগাতে পছন্দ করি। তারপর,অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল,একটা ছাদ বাগান করা। অনেক কষ্টে বাসা করার পর পরই ছাদ বাগানের কাজে লেগে পড়ি। সকাল-বিকেল গাছের চর্চা করি। নিজের গাছের ফল,ফুল দেখে দিনের সব ক্লান্তি ভুলে যাই। ছাদ বাগানের সবচেয়ে বড় সমস্যা গাছের বিভিন্ন রোগ নির্নয় ও কিটনাশক প্রয়োগ। এখন নিজের বাগানের শাক-সবজি,ফল নিজের পরিবার নিয়ে খাই,আত্মীয় স্বজনকে দেই। আমার স্বামী প্রায় সময় আমাকে উৎসাহিত করে। আমার মেয়েরাও সাহায্য করে।’
প্রতিবেশি শিক্ষক মানিকুজজমান বলেন, উনাদের ছাদ বাগান এলাকায় যথেস্ট প্রশাংসা কুড়িয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ’উনারা স্বামী স্ত্রী দু জনেই সৃজনশীল মানুষ। অনেকের মুখে উনাদের ছাদবাগানের প্রশংসা শুনেছি। উনাদের ছাদবাগন দেখে অন্যেরা উৎসাহিত হবেন, এই আশা করছি। ছাদবাগানের সম্পাসারনে উপজেলা কৃষি সব সময় উৎসাহিত ও সহযোগিতা করে আসছে।’