৩০ আশ্বিন, ১৪৩২

১৬ অক্টোবর, ২০২৫

মারাত্মক দুর্ঘটনা : বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলো ৫ শিশু শিক্ষার্থী

রবিউল ইসলাম রবীন/আদমদিঘী প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৫, ১২:১৯ অপরাহ্ন
মারাত্মক দুর্ঘটনা : বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলো ৫ শিশু শিক্ষার্থী

 

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ক্লাস শুরুর আগেই একটি শ্রেণিকক্ষের মেঝে হঠাৎ ধসে পড়লে ৫ শিক্ষার্থী পুকুরের পানিতে পড়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার, ১০ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছাতইনগর ইউনিয়নের বাগবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির কক্ষে। ভাগ্যক্রমে বড় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। দুর্ঘটনার পরপরই উপজেলা শিক্ষা অফিস ওই কক্ষটি বন্ধ করে দেয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অসর্তকতা ও অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম ও সজল হোসেন জানান, চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি শ্যামনাথ নামের একজন প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগ দেন। কিন্তু তিনি বিদ্যালয় পরিচালনায় অত্যন্ত উদাসীন। তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক বা স্থানীয়দের সাথে কোনো পরামর্শ না করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেন। বরাদ্দের অর্থ বিদ্যালয়ে কীভাবে ব্যবহার করছেন, সেটিও কাউকে জানান না।

তাদের অভিযোগ, এ কারণেই সকালে ক্লাস শুরুর আগেই শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী হুমায়রা, জসিয়ান ও আলমসহ ৫ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষ পুকুরের পানিতে ধসে পড়ে। এ ঘটনায় শিশুদের প্রাণহানি ঘটতে পারতো।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামনাথ বলেন, অনেক দিন আগে পুকুরের ওপর বিদ্যালয়ের কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি দক্ষিণ দিকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হলেও তিনি যোগদানের পর থেকে কোনো বরাদ্দ না পাওয়ায় মেঝে সংস্কার সম্ভব হয়নি। তবে দুই দফায় বিদ্যালয়ে প্রায় ৪০ হাজার ৫০০ টাকার বরাদ্দ এসেছিল। সেই অর্থ ব্যয়ের বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর জন্য তিনি স্থানীয়দের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।

আদমদীঘি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত কক্ষটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এরপর স্থানীয়দের সাথে কথা বলে অভিযোগগুলো নোট করেছি। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে, এরপর তারাই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম প্রধান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশু শ্রেণির কক্ষের এক কোণের মেঝে ধসে গেছে। তবে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। মেরামত না হওয়া পর্যন্ত ওই কক্ষ আর ব্যবহার করা হবে না। তবে এ ঘটনায় কোনো অনুসন্ধানী দল গঠন করা হয়নি।